তানবীর ইসলামের ফুল টস বল মিড উইকেট দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠালেন মোহাম্মদ মিঠুন। ৯৭ থেকে রান পৌঁছে গেল ১০৩-এ। সেঞ্চুরি দিয়ে ডানহাতি ব্যাটসম্যান শুরু করলেন বাংলার নতুন বছর। তবে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি প্রাইম ব্যাংকের এ ক্রিকেটার। একা লড়াই করে আবাহনীর বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংককে লড়াইয়ে রেখেছিলেন মিঠুন। কিন্তু পয়েন্ট থেকে মোসাদ্দেকের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হওয়ার পর তার দল হেরে যায় ২৮ রানে। মিরপুর শের-ই-বাংলায় আগে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ২৭১ রান করে আবাহনী লিমিটেড। জবাবে ৪৮.১ ওভারে প্রাইম ব্যাংকের ইনিংস থেমে যায় ২৪৩ রানে। ৯৫ বলে ৮ চার ও ৫ ছক্কায় ১০৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন মিঠুন। তাতে ম্যাচসেরা পুরস্কারও জিতেছেন।

কিন্তু দলকে জেতাতে না পারার আক্ষেপ তার। এ জয়ে প্রাইম ব্যাংককে পেছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলে তিনে উঠে এসেছে আবাহনী লিমিটেড। ১০ ম্যাচে ৭ জয়ে তাদের পয়েন্ট ১৪। প্রাইম ব্যাংকের ১০ ম্যাচে ৬ জয়ে পয়েন্ট ১২। আবাহনীর হয়ে এ ম্যাচে ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করে আসা লিটন দাস ও মাহমুদুল হাসান জয়। তারা কেউ অবশ্য বড় রান পাননি। জয় ২১ ও লিটন ৩০ রান করেন। ৩০ রানের দুটি ইনিংস আসে আফিফ হোসেন ও জাকের আলীর ব্যাট থেকে। আবাহনীর হয়ে হাল ধরেন হানুমা বিহারি ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ভারতীয় ব্যাটসম্যান বিহারি সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন। মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান। শেষ দিকে শামীম পাটোয়ারীর ২৭ বলে ৩৬ রান ও সাইফউদ্দিনের ৫ বলে ১৪ রান বড় পার্থক্য গড়ে দেয়।

বল হাতে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে মেহেদী হাসান ৪০ রানে ৩ উইকেট নেন। ২টি উইকেট পেয়েছেন আরেক স্পিনার রাকিবুল। লক্ষ্য তাড়ায় প্রাইম ব্যাংকের শুরুটা ছিল একদম বাজে। পেসার সাইফউদ্দিনের প্রথম দুই বলে সাজঘরের পথ ধরেন ইনফর্ম ব্যাটসমান এনামুল হক বিজয় ও অভিমন্যু ঈশ্বরণ। তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন মুমিনুল ও শাহাদাত দীপু। কিন্তু মন্থর ব্যাটিংয়ে তারা দলের ওপর চাপ বাড়ান। টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি।

দীপুর ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান। পাঁচে নেমে দলের চাহিদা অনুযায়ী রান তুলতে থাকেন মিঠুন। কিন্তু তাকে কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। নাসির (৭), মেহেদী (১৯), নাহিদুল (২৪) দ্রুত সাজঘরের পথ ধরেন। একপ্রান্ত আগলে মিঠুন ব্যাট চালিয়ে এগিয়ে যান সেঞ্চুরি পথে। শেষ দিকে সেঞ্চুরি পেলেও দলকে জেতাতে পারেননি এ ব্যাটসম্যান। রাকিবুল হাসান পয়েন্টে বল পাঠিয়ে সিঙ্গেলের জন্য ডাক দেন। মিঠুনও তাতে সাড়া দেন। কিন্তু হাতের মুঠোয় বল পেয়ে সরাসরি থ্রোতে স্টাম্প ভাঙেন আবাহনীর অধিনায়ক। তাতে ম্যাচটাও জিতে নেন তিনি। দলগত বোলিংয়ে সাফল্য পেয়েছে আবাহনী। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন সাইফউদ্দিন, সাকিব, মোসাদ্দেক ও তানবীর।